বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পর্যটক সামলাতে দেয়াল তুলছে জাপান ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র, একাদশে যারা আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হয়নি: ওবায়দুল কাদের অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে : সিইসি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ
তৈমূর আলম জনতার প্রার্থী

তৈমূর আলম জনতার প্রার্থী

স্বদেশ ডেস্ক: অবশেষে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নয়া মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে
। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে বিএনপি’র কোনো প্রার্থী নেই। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। দল নির্বাচনে না গেলেও কেন এডভোকেট তৈমূর নির্বাচন করছেন- এমন প্রশ্ন ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এমনকি তৈমূরের পক্ষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মুখ না খোলায় এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয় খোদ স্থানীয় বিএনপি’র ভেতর। তবে গতকাল নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এডভোকেট তৈমূর আলমের পক্ষে মুখ খুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তৈমূর আলমকে পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পদক এটিএম কামালের মুঠোফোনে ফোন করে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনে তৈমূর আলমের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।

ওই সময় মহাসচিব বলেন, তৈমূর সাহেব জনগণের দাবির মুখে, পরিবেশ- পরিস্থিতিতে প্রার্থী হয়ে গেছেন। তিনি এখন জনতার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিজয়ী হলে জনতার বিজয় হবে। তিনি ব্যর্থ হলে কিন্তু সরকার বলবে বিএনপি’র একজন নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা বিবেক-বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় করবেন। আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের কর্তব্য ঠিক করে নেবেন।
এটিএম কামাল বলেন, মহাসচিব যখন ফোন দেন তখন আমরা ওলামাদলের একটি বৈঠকে ছিলাম। আমি তখন তৈমুর আলম খন্দকারের কাছে ফোন দিলে তার সাথেও মহাসচিবের কথা হয়। তিনি প্রার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছেন।
এটিএম কামাল জানান, মহাসচিব আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনে কাজ করতে দলীয় কোন বিধি নিষেধ নেই। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ করেন এতে দল বাধা দেবেনা। যেহেতু আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করি তাই স্থানীয় মানুষের চাহিদা ও তাদের পছন্দে আমাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই।
প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: তৈমূর
এদিকে বুধবার সকালে নাসিক-এর সিদ্ধিরগঞ্জে ১ ও ২নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, আমি নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এই নির্বাচনে নেমেছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে অযাচিত ভাবে যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পানির যে নতুন ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে এবং বিভিন্ন যে জটিলতা এসবসহ জনদুর্ভোগ কমানো। হোল্ডিং ট্যাক্স পানির ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগণের হয়রানি হবে না, তাদের সেবা বৃদ্ধি করা হবে। খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেয়া যাবে না। তাদের আগে পুনর্বাসন করতে হবে তারপর অন্য চিন্তা। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
তৈমূর বলেন, একটা নিরাপদ নগরী গড়তে হবে। শাবল পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেলগেট ভেঙে যানজটে মানুষ মারা যাবে, সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ মারা যাবে, যানজট হবে, শব্দদূষণ হবে, এসব থাকবে না। জলাবদ্ধতা শেষ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করেন তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না এটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার উপর।
সিদ্ধিরগঞ্জে বিভেদ ভুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তৈমূরের পাশে
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রার্থী হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়ে তার পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এ চিত্র দেখা গেছে। এ সময় নেতাকর্মীদের বেশ উজ্জীবিত দেখা যায়।  তৈমূরের জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।
এ সময় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন, থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলামসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন জানান, আমাদের আজ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্য একটাই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো। তৈমূর ভাইকে ছাড়াও আমরাই প্রচারণা করবো। জয় নিয়েই ফিরতে হবে আমাদের। যদি কোনো ওলট-পালট হয় তবে এবার নারায়ণগঞ্জে ভয়ানক পরিস্থিতির জন্ম হবে।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম জানান, আজ থেকে আমাদের কোনো বলয় বা গ্রুপিং নাই। লক্ষ্য একটাই- তৈমূর ভাইকে জেতাতে হবে। মাঠে যখন নেমে গেছি জয় নিয়েই বাড়ি ফিরবো আমরা ইনশাআল্লাহ্‌।
এদিকে প্রবীণ নেতারা তাকে কাছে পেয়ে বলছেন, এবার পেয়েছি তৈমূরকে, আমরা নিজেরাই নামবো। নির্বাচন কি জিনিস নৌকাকে দেখিয়ে দেবো। বিভেদ ভুলে সবাই এক হয়েছি। তৈমূরকেই তো প্রার্থী হিসেবে এতদিন চেয়েছি। আজ পেয়েছি। এ রকম প্রার্থী যিনি আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন তাকে জয়ী করাতে আমাদের কোনো বিভেদ থাকবে না। আমরা তো এক পরিবার। এবার পুরো সিটির উন্নয়নে তৈমূরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877